১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

সবজি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার স্বস্তি – মাদারল্যান্ড নিউজ

রবিউল আওয়াল:  সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে রাজশাহীতে হালকা–পাতলা শীত পড়তে শুরু করলেও গরম ছিল শীতের সবজির বাজার। এক কেজি শিম কিনতে গুনতে হয়েছে একশত টাকার কাছাকাছি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউপাতার দাম ছিলো তুলনা মূলক বেশি। তবে একটু একটু করে শীত যেমন বাড়তে শুরু করেছে, তেমনি কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির দামও। রাজশাহী কাঁচাবাজারে শীতের বিভিন্ন টাটকা সবজি ও শাকে ভরপুর। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দামও। বেশির ভাগ সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। তাই মানুষও সবজি কিনছেন ¯^স্তিতে। সাহেব বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা এক পাল্লা (৫ কেজি) শিম বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ১০০ টাকায়; অর্থাৎ প্রতি কেজি শিমের দাম সর্বোচ্চ ২০ টাকা। এসব শিম খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৩০-৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে শিমের কেজি ছিল ১০০ টাকারও বেশি। ক্রেতারা জানালেন, বেশির ভাগ সবজির দাম কমলেও টমেটো ও গাজরের দাম এখনো বেশ চড়া। কমতির বাজারেও আগের মতোই ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গাজর। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নতুন আসা কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। সাহেব বাজারের এক বাসিন্দা মো. রইস বলেন, শিম, কপি, লাউসহ বেশির ভাগ সবজির দাম কিছুটা হলেও কম। তাই বেশ কেনাও পড়ছে। কোট বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, এখন তো প্রায় সব ধরনের সবজি ২০-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি ছাড়াও অন্য সবজির দামও বেশ কম। পটোল ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও এই সবজি দুটির প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখনকার সবজির বাজারে শীতকালীন শাকের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সরিষাশাক, মুলাশাক, পেঁয়াজশাক, ধনেপাতা, মেথিশাক, লালশাক, লাউশাক সহ আরও অনেক রকম। অনেক মানুষই দুপুরে খাবারের পাতে কোনো না কোনো শাকের তরকারি খেতে ভালোবাসেন। বাজারভেদে এক আঁটি পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়। লালশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৫-১০ টাকায়। লাউশাকের ডাল মিলছে ২০-৩০ টাকায় এবং ১০-২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এক আঁটি পুঁইশাক। শীত আসতেই বাজারে উঠেছে লম্বা লম্বা সবুজ কাঁচামরিচ। বাজারভেদে এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। তবে কোথাও কোথাও ৩০ টাকা কেজিও বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। দাম কমেছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। আগের সপ্তাহের মতোই আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। সাহেব বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাহেদ মিয়া বলেন, ‘গত সপ্তাহে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ৪০-৪৫ টাকা। এখন এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা। এক মাসে পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে।’ শীতকালীন সবজির দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী মো. মহিন উদ্দিন জানান, প্রতিদিনের ব্যবসায়ে কোনো সমস্যা নেই। প্রতিদিন ব্যবসায়ে লাভ-লোকসান তো থাকবেই। ক্রেতারা বেশি পরিমাণে সবজি কিনছেন। তিনি বলেন, সবজির দাম যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। আর যদি সবজির দাম কমে যায় তাহলে বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায় তাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুজনই লাভবান হন।

প্রকাশিত: মাদারল্যান্ড ডেস্ক

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ